আমাদের সম্পর্কে:
এসকেএস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গাইবান্ধার প্রথম সম্প্রচার মাধ্যম হিসেবে ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে কমিউনিটি রেডিও সারাবেলা ৯৮.৮ এফএম। পথচলার শুরু থেকে ‘মাটি ও মানুষের কাছে’ ¯েøাগানকে সামনে রেখে প্রান্তিক মানুষের দোরগড়ায় ‘ রেডিও সারাবেলা’ পৌঁছে দিচ্ছে প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা। রেডিওটি ২০১৬ সালের ১২ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি। এর আগে ২০১৩ সালের ৩ ডিসেম্বর কমিউনিটি রেডিও স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত লাইসেন্স লাভ করে এসকেএস ফাউন্ডেশন (লাইসেন্স নম্বর-১৭)। রেডিও সারাবেলা গাইবান্ধার চর ও মূল ভূ-খন্ড তথা প্রান্তিক এলাকার মানুষের জীবনমান ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু সুরক্ষায় বিশেষ ভ‚মিকা রাখা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মাটি ও মানুষের কথা তুলে ধরা। ২৫০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সমিটার এবং ১১০ ফিট উচ্চতা সম্পন্ন এন্টেনা টওয়ারের সাহায্যে গাইবান্ধার ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে রেডিও সারাবেলা। স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণে প্রতিদিন সকাল ৭টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ১৬ ঘন্টা সম্প্রচার নিশ্চিত করছে রেডিও সারাবেলা। যা বাংলাদেশের কমিউনিটি রেডিও সেক্টরে সর্বোচ্চ সম্প্রচার সময় হিসেবে পরিগণিত। রেডিও সারাবেলার সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালার জন্য রেডিও একজন স্টেশন ম্যানেজার, প্রোগ্রাম এবং নিউজ প্রডিউসারসহ ৮ জন স্টাফ। বর্তমানে এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে গাইবান্ধার ৩০ জন তরুণ-তরুণী। রয়েছে ১১০টি শ্রোতাক্লাব ও ১টি চাইল্ড ক্লাব। ইতোমধ্যে রেডিও সারাবেলার অর্জন করেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাধিক পুরস্কার/এ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনা নীতিমাল অনুযায়ী সম্প্রচার কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য রয়েছে ব্যস্থাপনা কমিটি এবং স্থানীয় উপদেষ্টা কমিটি যেখানে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সভাপতি হিসেবে রয়েছেন একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা বৃন্দ। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও তাদের প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচারের ফলে রেডিও সারাবেলা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। গাইবান্ধার ৭ টি উপজেলার প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে রেডিও সারাবেলা শুনছেন। জানাচ্ছেন তাদের মতামতও। এফএম এর পাশাপাশি বিশ্বের সকল প্রান্ত থেকে গুগল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও রেডিও সারাবেলা শোনা যায়। এছাড়া সোস্যাল মিডিয়া হিসেবে ফেসবুক ও ইউটিউবেও রেডিও সারাবেলার বিশেষ অডিও/ভিডিও কনটেন্ট শোনা ও দেখা যায়।
লক্ষ্য:
রেডিও সারাবেলা গাইবান্ধার চর ও মূল ভূ-খন্ড তথা প্রান্তিক এলাকার মানুষের জীবনমান ও আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, ভ্রাতৃত্ববোধ, সামাজিক ঐক্য ও সম্প্রীতিকে নির্দেশ করে। দুর্যোগে সচেতনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু সুরক্ষায় বিশেষ ভ‚মিকা রাখা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মাটি ও মানুষের কথা তুলে ধরাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
উদ্দেশ্য:
আমাদের উদ্দেশ্য হলো কমিউনিটি রেডিও ‘রেডিও সারাবেলা’ গাইবান্ধা জেলার এমন একটি সম্প্রচার মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলা যেখানে স্থানীয় মানুষের সরাসরি অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচার নিশ্চিত করতে সম্প্রচারকর্মী হিসেবে থাকবে এক ঝাঁক কিশোর-কিশোরী। স্থানীয় উন্নয়ন সংবাদ, তথ্য-বিনোদনের মাধ্যমে কমিউনিটির মানুষের আস্থা ও বিশ^স্ততা অর্জনে জনসাধারণের মন্তব্য ও পরামর্শের ভিত্তিতে গুণগত ও মানসম্পন্ন বিষয়ভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচার, স্থায়ীত্বশীল স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভ‚মিকা রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য।